সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর ও মইয়ার হাওরসহ অন্যান্য হাওরে আগামী বোরো ফসল রক্ষায় ৪৭টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে পৌনে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ এগিয়ে চলছে।
সরকারি বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে কার আগে কে কাজ শেষ করবেন, এ নিয়ে হাওরে চলছে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের মধ্যে ছিল প্রায় ৫০ ফুট গভীর খাদ (স্থানীয় ভাষায় ডহর।
এ ডহরটি ভরাট করতে সময় লেগেছে ১৭ দিন। সবাই আশা ছেড়ে দিলেও ওই পিআইসি কমিটির সভাপতি হাল ছাড়েননি। অবশেষে দিনরাত মাটি ভরাট করে ১৭ দিনের মাথায় তিনি সফল হয়েছেন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে পশ্চিমপ্রান্ত দিরাই উপজেলার হালেয়া গ্রাম এলাকায় শালিকার ডহর এলাকা সরেজিমনে দেখা যায়, ১০ ও ১১নং পিআইসি প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে।
এর মধ্যে ১১নং পিআইসি কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য রুবেল আহমদ জানান, ইতোমধ্যে আমাদের প্রকল্পের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তবে ১০নং পিআইসি কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য সুজাত মিয়া জানান তার ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, আমার প্রকল্পে পড়েছে সেই আলোচিত ভয়ঙ্কর শালিকার ডহর। এখানে ২টি ডহরের মধ্যে ১টি ডহর ভরাট করে এবার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ডহরে প্রায় ৫০ ফুট পানি ছিল।
প্রথম ১১ দিন টানা মাটি ভরাট করলেও কোন কূল পাইনি। গাড়ি ভর্তি মাটি দেয়া মাত্র কোথায় যেন চলে যায়। তখন রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ি। মানুষ এসে এমন অবস্থা দেখে এ ডহর ভরাট করা যাবে না বলে আমাকে নিরাশ করে দেয়।
সবাই আশা ছেড়ে দিলেও আমি হাল ছাড়িনি। অবশেষে ১৭ দিনের মাথায় সেই আলোচিত শালিকার ডহরের উপর দিয়ে এবার বাঁধ নির্মাণ করছি। এতে বরাদ্দের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয় হয়েছে।
টিএইচ